গাজীপুর শ্রীপুরে পুলিশ সদস্য কে মারধরের ঘটনায় ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) মারধর করেছেন এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার শৈলাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ওই দোকানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার দোকানি মো. রাশেদ খান (২৭)। তিনি শৈলাট গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে। ওই বাজারে তার একটি মুদি দোকান আছে। আহত পুলিশ সদস্য মো. আবুল হোসেন (৩৫) শ্রীপুর থানাধীন মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে সহকারী উপপরিদদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দোকানির মারধরে আবুল হোসেন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কাজে ফিরেছেন।
শ্রীপুর থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ দোকানে চুরি হয়েছে বলে জানান শৈলাট বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদ খান। পরে কল পেয়ে মাওনা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আবুল হোসেনকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। সাড়ে ৮টায় শৈলাট বাজারের ওই দোকানের সামনে যান আবুল হোসেন। এ সময় দোকান খোলা থাকলেও সেখানে দোকানের মালিক রাশেদ খানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আবুল হোসেন দোকানিকে ঘটনাস্থলে আসতে ফোন দেন। এরপর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে দোকানি রাশেদ খান ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে এসেই পুলিশ সদস্যের দিকে তিনি রাগান্বিত হয়ে যান। চুরি হয়েছে এমন কল পেয়ে কেন দেরিতে আসা হলো তার কারণ জানতে চান। পুলিশ সদস্য তাকে কারণ জানান। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ওই দোকানি পুলিশ সদস্যের মাথায় লোহার শিকল দিয়ে আঘাত করেন। এতে পুলিশ সদস্যের মাথা ফেটে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকেও আটক করেন তারা। পরে তার বিরুদ্ধে আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফজলুল হক বলেন, ওই পুলিশ সদস্য হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
তদন্ত করে দোকানে চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানতে পেরেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল। তিনি বলেন, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় পুলিশ সদস্যের সেখানে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কিন্তু দোকানে চুরি না হলেও কেন তিনি জরুরি সেবা নাম্বারে ফোন দিয়েছিলেন তা আমরা জানতে পারিনি। এই ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।স