ভয়ঙ্কর নারী চক্রের মূল হোতা আফরিন রিয়া-
মো সুজন আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি
নেএকোনা জেলার মহনগঞ্জ থানার মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে আফরিন রিয়া এবং একাধিক নামে পরিচিত। নিজেকে ঢাকার সাভার আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার সরকারি কলেজ, ধামরাই সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রী হিসেবে দেন পরিচয়। আফরিন রিয়া সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন জায়গা যেমন নবীনাগর, পল্লী বিদ্যুৎ, জামগড়া, বাইপাইল এলাকায় ভিন্ন পরিচয়ে থাকেন রুম ভাড়া নিয়ে। আয়ের উৎস হিসেবে দৃশ্যমান কোনো পেশা নেই আফরিন রিয়ার
এরপর প্রতারনার নতুন ফাঁদ হিসেবে বেছে নেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে। আফরিন রিয়া ও একেক সময় একেক নামে ফেসবুকে রয়েছে তার একাধিক ফেইক আইডি।ফেসবুকের কল্যানে এসব আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে টার্গেট করে পাতেন প্রেমের ফাঁদ। নিজেকে এতিম অসহায় দাবি করে করেন বন্ধুত্ব।তারপর ধীরে ধীরে প্রেমের জালে ফেলে গড়ে তুলেন তাদের সাথে গভীর সম্পর্ক অতঃপর টার্গেটকৃত পুরুষদের সাথে কথিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণাই বহুরুপী এই নারীর মূল পেশা।একপর্যায়ে শুরু করেন ব্ল্যাকমেইল। আফরিন রিয়ার প্রতারণার জালে জড়িয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেক পুরুষ।এমনকি আফরিন রিয়ার ছলনা ও প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাননি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা।প্রেম কিংবা ভালোবাসা নয় যার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
এ চক্রে ৪/৫ জন সুন্দরী নারী রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,তাদের এমন প্রলোভনের শিকার হন ধনাঢ্য ও খ্যাতনামা ব্যক্তিরা। মান-সম্মানের কথা ভেবে এ বিষয়ে মুখ খুলতেও রাজি হয় না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও কোনো অভিযোগ করে না।
এর আগে এই চক্রের মূলহোতা আফরিন রিয়াসহ ৫জন আশুলিয়া থানা পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন।
আফরিন রিয়ার প্রতারনার ফাঁদ থেকে বাদ যায়নি তার খালা জোছনা বেগম নিজেও কিছুদিন আগে তার স্বামির সাথে বনি বনা হচ্ছিলনা এক পর্যায়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
আন্তজার্তিক মানবাবিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের ঢাকা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জনাব কে.এম.সোহেল হাওলাদার এর সহযোগিতায় দুই লক্ষ টাকা দেন মোহর আদায় করে দেয়া হয়।
সেই টাকা ও প্রতারনা করে হাতি নেয় আফরিন রিয়া এই বিষয়ে মোহনগন্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
মোহনগঞ্জ থানার অফির্সার ইনচার্জ কালের পরিবর্তন কে বলেন, আফরিন রিয়া থানায় এসে সংবাদ কর্মি পরিচয় দিয়েছে তার নামে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা সহ ভিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা ও অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।